গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন সহজ হবে না: এম আবদুল্লাহ

Date:

 ‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন সহজ হবে না’ বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেছেন,বেশির ভাগ সুপারিশ ইতিবাচক হলেও কিছু প্রস্তাবনা বাস্তবতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। সাংবাদিকের প্রারম্ভিক বেতন প্রথম শ্রেণির বিসিএস কর্মকর্তার সমান প্রস্তাব করা হলেও তা নিশ্চিত করার ম্যাকানিজম কী হবে তা রিপোর্টে স্পষ্ট নয়। ‘এক মালিকের এক মিডিয়া’ প্রস্তাব বাস্তবায়নও কঠিন হবে।
 রবিবার যশোর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে অসুস্থ ও অসচ্ছল সাংবাদিকদের মধ্যে কল্যাণ অনুদান এবং সাংবাদিক সন্তানদের মধ্যে বৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ আবদুল্লাহ এসব কথা বলেন।
যশোরের জেলা প্রশাসক মো.আজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলার ৫৭ জন সাংবাদিক ও ৭৪ সাংবাদিকের মেধাবী সন্তানদের মধ্যে চেক বিতরণ করা হয়।
সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন যশোরের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সাবেক সম্পাদক আহসান কবীর, বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন, সাবেক সহসভাপতি রাশিদুল ইসলাম,সাবেক সহকারী মহাসচিব নূর ইসলাম প্রমুখ।
মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকেরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি তার সঙ্গে দায়িত্বশীলতার বিষয়টি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হচ্ছে। এটা করা যাবে না।’
এম আবদুল্লাহ বলেন, সাংবাদিকদের কল্যাণে ট্রাস্ট যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে তা অনেকেরই পছন্দ হচ্ছে না। ফলে ট্রাস্টের কার্যক্রম ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র চলছে। সাংবাদিক সমাজ তা বরদাশত করবে না।
তিনি বলেন, সাংবাদিকেরা অন্যান্য পেশাজীবীদের মতো নন। সাংবাদিকতা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও অনিশ্চয়তার পেশা। এ পেশার মানুষেরা দেশের গণতন্ত্র, জনগণের কল্যাণ ও মানবাধিকারের জন্যে কাজ করে। পেশাদার সাংবাদিকেরা দেশ ও মানুষের স্বার্থে নিজেকে উজাড় করে দেন, জীবনের ঝুঁকি নেন। সে কারণে সাংবাদিকদের দুঃসময়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
এম আবদুল্লাহ বলেন, বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট অত্যন্ত স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করছে। আট মাসে অসুস্থ, অসচ্ছল সহস্রাধিক সাংবাদিকের পাশে দাঁড়িয়েছে ট্রাস্ট। এছাড়া পবিত্র রমজান ও ঈদ উপলক্ষে দেড় হাজার সাংবাদিক পরিবারের কাছে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পেশাগত উৎকর্ষ সাধনে সাংবাদিকদের জন্যে ফেলোশিপ চালু করা হচ্ছে। প্রবীণ সাংবাদিকদের অবসরকালীন মাসিক ভাতার আওতায় আনার কাজ চলছে।
অনুষ্ঠানে যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ কায়েমে অন্য অনেক পেশাজীবীর মতো সাংবাদিকদেরও ভূমিকা ছিল, যেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা সেই সময়ে আর ফিরে যেতে চাই না। আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ যেন গোলামির না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’

Popular

More like this
Related

দিন-রাতে তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি বাড়তে পারে

দিন-রাতে তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি বাড়তে পারে সারাদেশে দিন ও...

ফিলিস্তিনি শিশুদের ‘মৃত্যুদণ্ড’ দেওয়ার পরামর্শ ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতের

ফিলিস্তিনি শিশুদের ‘মৃত্যুদণ্ড’ দেওয়ার পরামর্শ ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতের ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ...

সংস্কার ও বিচারবিহীন নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না : নাহিদ

সংস্কার ও বিচারবিহীন নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না :...

মেসিকে ছাড়াই ব্রাজিলের জালে এক হালি গোল দিল আর্জেন্টিনা

মেসিকে ছাড়াই ব্রাজিলের জালে এক হালি গোল দিল আর্জেন্টিনা...