যশোরে বাকিতে দুবাইয়ের ভিসা এনে টাকা না দেয়ায় যশোর আদালতে মামলা

Date:

বাকিতে দুবাইয়ের ভিসা এনে টাকা না দেয়ায় যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল যশোর শহরের আশ্রম রোড এলাকার আক্কাস আলীর মেয়ে তহমিনা আক্তার কথা বাদী হয়ে তিন সহোদরের বিরুদ্ধে এই মামলাটি করেছেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে আদেশ দিয়েছেন।

আসামিরা হলো,মণিরামপুর উপজেলার ডাঙ্গা মহিষদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল করিম গাজীর তিন ছেলে রাশেদুল ইসলাম, ফরহাদ হোসেন ও আহসানউল কবীর।

বাদী মামলায় বলেছেন,তার স্বামী বিদেশে থাকেন জানতে পারে। আসামি রাশেদুল ইসলাম বাদীকে প্রস্তাব দেন যে তার ছোট ভাই আহসানউল কবীরকে দুবাইতে পাঠাতে হবে। দুবাই পাঠাতে সাত লাখ টাকা খরচ হবে বলে আসামিদের জানানো হয়। এসময় তারা বাদীকে জানিয়েছে ভিসাসহ সকল কাগজপত্র প্রস্তুত করা হলে টাকা দেয়া হবে।

ফলে ভিসার খরচ ও বিমান ভাড়াসহ সব কিছুই বাদীর স্বামী প্রস্তুত করেন। কিন্তু ভিসা প্রস্তুত হওয়ার পরে টাকা প্রদানে আজনা কাল বলে ঘুরাতে থাকে। এরই মধ্যে বিমানের টিকিট কনফার্ম হলে আসামিরা টাকা প্রদানে অস্বীকৃতি জানায়। এর কয়েকদিন পরেই আবার আসামি আহসানউল কবীর অন্য লোকের মাধ্যমে যোগাযোগ করে দুবাই চলে যায়। কিন্তু আহসানউল কবীরের অন্য দুই ভাই রাশেদুল ইসলাম ও ফরহাদ হোসেন ওই টাকা প্রদানে নানা টালবাহানা শুরু করে।

২০২৪ সালের ২০ ডিসেম্বর বিকেল ৪টার দিকে রাশেদুল ইসলাম ও ফরহাদ হোসেনকে বাদীর পিতার বাড়ি যশোর শহরের আশ্রম রোডে ডেকে আনা হয়। এসময় তাদের ভাইকে দুবাই পাঠাতে ভিসা ও বিমান ভাড়ার জন্য খরচ হওয়া সাত লাখ টাকা দাবি করা হয়। কিন্তু তারা কোন টাকা দিতে পারবেনা বলে চলে যায়। এছাড়া এই বিষয় নিয়ে কাউকে জানানো হলে বা আইনের ব্যবস্থা করা হলে বাদীকে খুন করার হুমকি দেয়া হয়েছে। ফলে স্থানীয় ভাবে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলাটি করা হয়েছে।

Popular

More like this
Related

জাকাত আদায়ের মাসয়ালা 

জাকাত আদায়ের মাসয়ালা মাসয়ালা: নিজ প্রয়োজনীয় খরচাদি বাদ দিয়ে যে...

কারাগারে ‘ডান্ডাবেড়ি বাণিজ্য’

কারাগারে ‘ডান্ডাবেড়ি বাণিজ্য’ কক্সবাজার জেলা কারাগার হয়ে উঠেছে ভয়ংকর...

শত্রুর যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত ইরান

শত্রুর যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত ইরান শত্রুর যে...

বরকতময় সেহরি

বরকতময় সেহরি সেহরি খাওয়া সুন্নাত। এক বা দুই ঢোক...