যশোরে যুবমহিলা লীগ নেত্রী কে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা উধাও যশোর সদর উপজেলার কচুয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতার বউ শারমিন সুলতানা তমাকে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হোসেন ওরফে টোকাই ইমরান অজানায় পাড়ি জমিয়েছে। সম্প্রতি এঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে যুবলীগ নেতার বউ শারমিন সুলতানা তমাও কচুয়া ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের আহবায়ক পুর্বের স্বামীর ঘরে ২ টি ফুটফুটে সন্তান ও ছিলো এবং তার প্রেমিক ইমরান হোসেন ওরফে টুকাই ইমরান নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সদর উপজেলা কমিটির সদস্য।
এলাকায় ঘুরে জানা যায় গত ৫ আগষ্টের পর আলোচিত সন্ত্রাসী নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা সন্ত্রাসী ইমরান হোসেন ওরফে টোকাই ইমরান স্বপরিবারে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় সাথে যুবলীগ নেতাও এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেয়। কিন্তু কিছু দিন পরেই ওই যুবলীগ নেতা জানতে পারেন তার বউ যুব মহিলা লীগ নেত্রী শারমিন সুলতানা তমাও ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হোসেনের সাথে পালিয়ে যায়। সম্প্রতি এঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
ইমরান হোসেন সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পলাতক আনোয়ার হোসেন বিপুল ও কারাগারে আটক নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রাজু আহমেদের অনুসারী ছিলো। ৫ আগষ্টের পর পট পরিবর্তন হলে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় এই টোকাই ইমরান। এলাকাবাসি জানায় মুলত ৫ আগষ্টের পরই যুব মহিলা লীগ নেত্রী তমা ও ছাত্রলীগ নেতা টোকাই ইমরান ঘর বাধার স্বপ্ন নিয়ে পালিয়ে যায় যা সম্প্রতি এলাকায় জানাজানি হলে ব্যাপক আলোচনা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের যশোর সদর উপজেলা কমিটির সদস্য ইমরান হোসেন এলাকায় টোকাই ইমরান নামে পরিচিত বিগত স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের সময় নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন কচুয়া ইউনিয়ন এলাকায় ব্যাপক সন্ত্রাস চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। টোকাই ইমরান সাবেক চেয়ারম্যান রাজু আহমেদের অনুসারী হয়ে এলাকায় সন্ত্রাস চাঁদাবাজি করতো। এসব অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলাও আছে যা চলমান।
ইমরান হোসেন ওরফে টোকাই ইমরান কচুয়া ইউনিয়নের নিমতলি গ্রামের হাদিউজ্জামানের ছেলে ও যুব মহিলা লীগ নেত্রী শারমিন সুলতানা তমা কচুয়া ইউনিয়নের দেয়াপাড়ার স্কুল মাঠ পাড়ার আব্দুল ওহাব মোল্লার মেয়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিমতলি দেয়াপাড়া এলাকার একাধিক গ্রামবাসী জানান বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের শাসনামলে সাবেক চেয়ারম্যান রাজু আহমেদের সহযোগিতায় ইমরান ও তার সহযোগীরা সন্ত্রাসের রামরাজত্ব কায়েম করে। ইমরান চেয়ারম্যান রাজু ও আওয়ামী ছাত্রলীগ সমর্থক হওয়ায় ভয়ে কেউ মুখ খুলতো না। এতে করে টোকায় ইমরান এলাকায় সন্ত্রাস চাঁদাবাজি নারী ব্যবসা সহ একাধিক অপরাধের সাথে জড়িত থাকলেও তার বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। একারনে সে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেলে বিগত আওয়ামীলীগ সরকার থাকতে সন্ত্রাসী আটকে বিশেষ অভিযান চালায় পুলিশ সে সময় আনোয়ার হোসেন বিপুল, সাবেক চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, ইমরান সহ তাদের সহযোগিরা গাঢাকা দেয়। অভিযান এর শেষে আবার ও এলাকায় ফিরে আসে। একই ভাবে বিভিন্ন অপরাধ করে বেড়াতো।
এলাকাবাসী আরো জানায়, বিগত জুলাই আন্দোলনে যোগ দেওয়া শিক্ষার্থীদের মারধর ও তাদের খুজে না পেলে তাদের বাড়ি ঘরে হামলা চালাত এই টোকাই ইমরান সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী। আর এসকল অপকর্মের মুল সহযোগীর ভূমিকায় থাকতো কচুয়া ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের আহবায়ক শারমিন সুলতানা তমা। এবিষয়ে তমার নিকটাত্মীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান মুলত ইমরান এবং তমা সকল সময়ে একসাথে থাকতো বিভিন্ন প্রোগ্রাম এ একসাথে যাতায়াত করতো অনেক সময় ভারি রাতে ফিরতো আবার কোন কোন রাতে ফিরতো না, কিন্তু ইমরান আর তমার বয়সের পার্থক্যটা মা ছেলের বয়স বলে কখনও সন্দেহ হয়নি। তিনি আরো বলেন, তবে তমা এমন কাজ করবে এটা সপ্নেও ভাবতে পারিনি।
নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নে ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হোসেনের বিষয়ে খোজ নিয়ে জানা যায় বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের আমলে টোকাই বেশে রুপদিয়া বাজারে ঘুরাঘুরি করতো একসময় সাবেক চেয়ারম্যান রাজু আহমেদের সহযোগিতায় বেপরোয়া হয়ে উঠে অত্র এলাকায় বিএনপি জামায়াত নেতাকর্মীদের দোকান বাড়ি ভাংচুর সহ একাধিক অপরাধের সাথে জড়িত, রুপদিয়া বাজারে ইমরানের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন সন্ত্রাসী জেলা সেচ্ছাসেবক দলের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার ফকরুজ্জামান রাসেলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর লুটপাট চালায় সাবেক চেয়ারম্যান রাজু আহমেদের অনুসারীরা সেসময় রাসেলের দোকানে থাকা তার ভাতিজা কে কুপিয়ে আহত ও মারধর করে হাত ভেঙ্গে দেয়। তখন এসব বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলেও থানায় মামলা নেয়নি পুলিশ এমনই অভিযোগ করে ভুক্তভোগী পরিবার।যশোরে যুবমহিলা লীগ নেত্রী কে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা উধাও
এলাকাবাসি আলোচিত সন্ত্রাসী ইমরান হোসেন ওরফে টোকাই ইমরান ও যুব মহিলা লীগ নেত্রী শারমিন সুলতানা তমা কে আটক করে বিগত অপরাধের শাস্তি দাবী জানান।
