যশোরে লোপাট হওয়া ৩ হাজার ১৫ বস্তা সরকারি সার উদ্ধার,আটক তিন যশোরের অভয়নগর থেকে লোপাট হওয়া ৩হাজার ১৫ অবস্থা সরকারি সার উদ্ধার করেছে যশোর ডিবি পুলিশ। এ সময় ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হচ্ছেন,
যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের চাউলিয়া গ্রামের নুর ইসলাম মোল্লার ছেলে মিলন হোসেন, অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া দক্ষিনপাড়ার কেরামত আলীর ছেলে আবু বক্কর ও বাঘারপাড়া উপজেলার নারকেলবাড়িয়া গ্রামের অনাত সাহার ছেলে উজ্জল কুমার সাহা।
ডিবির ওসি মঞ্জুরুল হক ভুঞা সাংবাদিকদের বলেছেন, যশোর জেলার অভয়নগরের নভো ট্রেড এন্ড ট্রান্সপোর্ট থেকে সরকারি বিসিআইসি ইউরিয়া সার ফরিদপুর টেপাখোলা বাফার গোডাউনে পাঠানোর জন্য আসামিদের সাথে চুক্তি করেন ওই ট্রান্সপোর্টের প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান মিল্টন।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪৮টি ট্রাকের মাধ্যমে মোট ৩১ হাজার ৩শত ৬০ বস্তা সার পাঠানো হয়। যার মূল্য ৪কোটি ৩৯ লাখ চার হাজার টাকা। কিন্তু ৩৩টি ট্রাক গন্তব্যে পৌঁছালেও ১৫টি ট্রাকের সাত হাজার ১শ’৪০ বস্তা সার গৌন্তব্যে না পৌছে আত্মসাৎ করে। যার দাম ৯৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। এ বিষয়ে ডিবির কাছে অভিযোগ দেয় মোস্তাফিজুর রহমান। যশোর জেলার পুলিশ সুপার রওনক জাহানের নির্দেশে তদন্ত করতে মাঠে নামেন যশোরের ডিবি পুলিশ।
যশোর ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মনজুরুল হক ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের এসআই আবু হাসানের সমন্বয়ে একটি টিম গত ১৩ মার্চ রাতে যশোরের অভয়নগর থানাধীন ভাঙ্গাগেট এলাকা মোঃ মিলন হোসেন ও আবু বক্কারকে আটক করেন। পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে ১৪ মার্চ বাঘারপাড়ার চতুরবাড়িয়া বাজার থেকে ৪শ’৩৫ বস্তা ইউরিয়া সার উদ্ধার করা হয়। এরপর আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও তথ্য বেরিয়ে আসে। ১৬ মার্চ শার্শার বাঁগআচড়া বাজার থেকে আরও ৮শ’ বস্তা,১৭ মার্চ উপজেলার পুলেরহাট বাজার থেকে আরও ৪শ’৬০ বস্তা এবং ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ থানাধীন বারোবাজার থেকে ৯শ’২০ বস্তা লোপাট হওয়া সরকারী সার উদ্ধার করা হয়।
সর্বশেষ বুধবার ( ১৯ মার্চ) মণিরামপুর উপজেলার জয়পুর গোপের বাজার থেকে আরও ৪শ’ বস্তা উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় আরও একজনকে। ডিবির অফিসার ইনচার্জ মনজুরুল হক ভূঁইয়া, সাংবাদিকদের কাছে আরো বলেছেন,এ পর্যন্ত ৩হাজার ১৫ বস্তা সার উদ্ধার করা হয়েছে। যার দাম ৪২ লাখ ২১ হাজার টাকা। তিনি বলেন, ঘটনা তদন্ত করতে যেয়ে আরো অনেক তথ্য পাওয়া গেছে যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।