চতুর্থ অন্ধ টি-২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপে রানার্সআপ বাংলাদেশ দলকে যশোরে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। যশোর ব্লাইন্ড ক্লিকেট ক্লাবের পক্ষ থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় যশোর বাঁচতে শেখা মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়, কর্মকর্তাদের সম্মমনা স্মারক প্রদান করা হয়।
এছাড়া অনুষ্ঠানে যশোরের বিভিন্ন পর্যায়ের জাতীয় পর্যায়ে কৃতিত্ব দেখানো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়খ আজিজুল হাকিম তামিম, অ্যাথলেট চয়ন বিশ্বাস, বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ বাস্কেটবল দলের নাজমীন,সুমাইয়া জামান মৌশি, সুমাইয়া আক্তার শিমু। দলে সুযোগ পাওয়া খেলোয়াড়দের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, যারা শারিরীক ভাবে অক্ষম তারা প্রতিবন্ধী নয়। তবে যারা সমাজের কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তারাই আসল প্রতিবন্ধী। যশোর খেলাধূলা, সাহিত্য সংস্কৃতি সব দিক এগিয়ে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ছোট পরিসরে হলেও এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শারিরীক প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে খেলোয়াড়রা দেশের সুনাম বয়ে আনছে। এধরনের প্রতিবন্ধকতা যাদের আছে তাদেরকে খুজে নিয়ে এসেছে প্রতিভা বিকশিত সুযোগ করে দিতে হবে। সমাজের সকল স্তরের মানুষকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করতে হবে। তাহলে সমাজ এগিয়ে যাবে।
যশোর ব্লাইন্ড ক্লাবের সভাপতি ফজলে রাব্বি মোপাসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য বাংলাদেশ ব্লাইন্ড ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি সদস্য এজেডএম সালেক, শ্রীনিবাস হালদার, যশোর ব্লাইন্ড ক্রিকেট ক্লাবের সহ-সভাপতি এমএ আকসাদ সিদ্দিকী শৈবাল, সাধারণ সম্পাদক খায়রুল কবির চঞ্চল, বাংলাদেশ ব্লাইন্ড ক্রিকেট কাউন্সিল ক্রিকেট কাউন্সিলের পরিচালক মোহাম্মদ তাইজুদ্দিন, বাংলাদেশ ব্লাইন্ড দলের সাবেক অধিনায়ক তানজিলুর রহমান, বর্তমান অধিনায়ক আরিফ উল্লাহ।
এদিকে আজ শনিবার সকালে যশোর টাউন হল মাঠে বাংলাদেশ অন্ধ দলের খেলোয়াড়রা মাইকেল মধূসূদন একাদশ ও তরিকুল ইসলাম একাদশ নামে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে একটা প্রীতি ম্যাচে অংশ গ্রহন করবে। ম্যাচ শেষে খেলোয়াড়-কর্মকর্তারা মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি পরিদর্শনে যাবেন।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১৯ নভেম্বর যশোর ব্লাইন্ড ক্রিকেট ক্লাবের যাত্রা শুরু হয়। সেই থেকে যশোরের ৮জন খেলোয়াড় জাতীয় দলের খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। সর্বশেষ টি-২০ বিশ^কাপে রানার্সআপ বাংলাদেশ দলের সদস্য ছিলেন বেশ কয়েকজন। এর মধ্যে যশোরের আসমত আলী টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়।