যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবু-সম্পাদক দেলোয়ার ও সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল নির্বাচিত দীর্ঘ ১৬ বছর পর বিপুল উৎসাহ ।উদ্দীপনায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শেষ হয়েছে যশোর জেলা বিএনপির বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন । রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিএনপির নেতৃত্ব বাছাইয় করছেন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে। শনিবার বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় ভোট দিয়েছেন যশোর জেলা বিএনপি কাউন্সিলাররা। নির্বাচন ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উদ্দীপনা। নির্বাচন শেষে রাতে সাড়ে আট ফলাফল ঘোষনা করে বিএনপি চেরায়পার্সনের উপদেষ্টা আমন উল্লাহ আমান।
এ নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু। সাধারণ সম্পাদক নিবাচিত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন খোকন। সংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদ্য বিদায়ী কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, সাবেক ছাত্রনেতা শহিদুল বারী রবু।
যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবু-সম্পাদক খোকন ও সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল নির্বাচিতযশোরে জেলা বিএনপির ১৬ টি ইউনিটের এক হাজার ৬১৬ জন কাউন্সিলারের মধ্যে এক হাজার ৪৮৪ জন কাউন্সিলার তাদেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। এ নির্বাচনে ৭৪৮ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও যশোর চেম্বারের সভাপতি মিজানুর রহমান খান পেয়েছেন ৬৬৩ ভোট এবং যশোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম মারুফ পেয়েছেন ৭৩ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে দেলোয়ার হোসেনখোকন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচিত হয়েছেন।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, পেয়েছেন ১৩৪১ ভোট, মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু পেয়েছেন ৮৪৫ ভোট , সাবেক ছাত্রনেতা শহিদুল বারী রবু ৭২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।আর কাজী আজম পেয়েছেন ৭১২ ভোট।
দীর্ঘ ১৬ বছর পর বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শেষ হয়েছে অনুষ্ঠিত হল যশোর জেলা বিএনপির বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিএনপির নেতৃত্ব গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নেতা নির্বাচন করলে।
যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবু-সম্পাদক দেলোয়ার ও সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল নির্বাচিত অথচ গত শতকের শেষ দশকে আমাদের জাতীয় রাজনীতিতে মোড় ঘোরানো পরিবর্তন আনায় ভূমিকা রেখেছিল ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’ স্লোগানটি। ওই স্লোগানটিকে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল আমাদের সুশীল সমাজ এবং রাজনৈতিক দলগুর্লো। আওয়ামী লীগে সরকারে সময় দিনের ভোট রাতেই করেছে তারা। জনগনের ভোট ছাড়াই নির্বাচিত হয়েছে জনপ্রতিনিধি। ফলে ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’ স্লোগানটির কোন বাস্তবায়ন তো দূরের কথা তার লেশমাত্র প্রতিফলন ছিল না। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিএনপির নেতৃত্ব বাছাইয় করছেন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে । শনিবার বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় ভোট দিয়েছেন যশোর জেলা বিএনপি কাউন্সিলাররা। যশোরে ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রথম অধিবেশন শেষে যশোর টাউন হল ময়দানের আলমগীর সিদ্দিকী হলে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয় নেতা নির্বাচনের ভোট প্রদান করেন।
এ দিকে যশোরে কাউন্সিলকে ঘিরে নেতা-কর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে উৎসাহ উদ্দীপনা। চারদিকে ছিল সাঁজ সাজ রব। নেতাকর্মীদের মাঝে ছিল উৎসবের আমেজ। ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুনে সাজানো হয়েছে ভোট কেন্দ্র। গনতান্ত্রিক ভোট উৎসবে মাতেন নেতা কর্মীরা