যশোর পুলেরহাটে দূর্ঘটনাকবলিত মিনিবাস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় ৫ জনের নামউল্লেখসহ অপরিচিত ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার বাস মালিক শার্শার সোনাতনকাটি গ্রামের এবিএম বদরুল আলশ বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগটি এজাজার হিসেবে গ্রহন করার আদেশ দিয়েছেন কোতয়ালি থানার ওসিকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী কাজী ফরিদুল ইষলাম।
আসামিরা হলো, যশোর সদরের কৃষ্ণবাটি পুলেরহাট গ্রামের জয়নালের ছেলে শহিদুল, একই গ্রামের ইস্রাফিল, পুলেরহাট গ্রামের তাহের আলীর ছেলে আশিক, লাল্টুর ছেলে ইব্রাহিম ও লিটনের ছেলে নূর আলী।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ঢাকা মেট্রো- জ- ১৪-০২৫২ মিনিবাস খুলনা-সাতক্ষীরা কালীগঞ্জ ভায়া যশোর নাভারন রুটে যাত্রী পরিবহন করে। গত ৩ মার্চ বিকেলে মিনিবাসটি যশোর পুলেরহাট পেঁৗছালে সামনে থাকা একটি প্রাইভেট কার একটি মোটরসাকেটের পিছনে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় প্রাইভেট কারের পিছনে থাকা মিনিবাসটি দূর্ঘটনাকবলিত মোটরসাকেলে ধাক্কা দেয়। এসময় মোটরসাকেলের চালকসহ তিনযাত্রী রাস্তায় পড়ে যায়।
এ সময় যাত্রী মেয়ে ঐশী ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে নেয়ার পথে চালক পিতা রুবেল মারা যায়। দূর্ঘটনার পর বাসটি ঘটনাস্থলে রাখা ছিল। বিকেল ৫ টার দিকে আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে মিনিবাসের ভিতর পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে মিনিবাসটি পুড়ে যায়। বর্তমানে নাভারন হাইওয়ে পুলিশ মিনিবাসটি জব্দ করে রেখেছে। মিনিবাসটি পরিকল্পিত ভাবে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়ায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।