বেনাপোল প্রতিনিধিঃ শার্শায় ২০ লাখ টাকার মাছ লুটবেনাপোলের পাচভূলাট গ্রামের মাঠে আব্দুল মজিদের মাছের ঘের ও গভীর নলকুপ দখল করে প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ লুট করেছে কাদের মোড়লের নের্তৃত্বে ১০/১২ জনের একটি স্বশ্বস্ত্র সন্ত্রাসীবাহিনী। মজিদ নিরীহ প্রকৃতির হওয়ায় ও বেনাপোলে বসবাস করায় কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী কাদের মোড়ল মুজিদের এসব সম্পদ দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। গ্রামের বাড়ি ও মাছের ঘেরে আসলে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। তারই সন্ত্রাসী বাহিনী গত বৃহস্পতিবার মাছের ঘেরে হামলা চালিয়ে মাছ লুট করে। এঘটনায় শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেও কোন ফল পাননি।
মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ বলেন, শার্শা উপজেলার পাচভূলোট গ্রামের মাঠে তার ১৫ বিঘা জমিতে মাছের ঘের ও একটি গভির নলকুপ ছিল। দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন রকম মাছ চাষ করে আসছেন তিনি। এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী কাদের মোড়ল মুজিদের এসব সম্পদ দখলে নেওয়ার জন্য মোটা টাকার বিনিময়ে কাদের মোড়লের ছেলে নয়ন হোসেন, আইয়ুব আলীর ছেলে উজ্জল, তবিবর শেখের ছেলে জেকের, খোরসেদ এর ছেলে মেহেদী, ফজের শেখের ছেলে মিঠু ও আনসার এর ছেলে আজিজুল ইসলাম কে ভাড়া করে মাছের ঘেরে জাল টেনে মাছ ধরা শুরু করেন।
এসব মাছ ট্রলিতে করে বেনাপোল, বাগআঁচড়া, নাভারণ ও যশোরে বিক্রি করেন। মাছ বিক্রির পর ঘের টি দখল করেছে কাদের মোড়ল। মজিদ যাতে গ্রামের বাড়ি ও মাছের ঘেরে না আসতে পারে সে জন্য কাদেরের ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা রাত দিন পাহারা দিচ্ছে। এ ঘটনায় বিচার যেয়ে মজিদ শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ পেয়েও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার ভূমি ও শার্শা থানা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।
এলাকাবাসিরা জানান, মজিদ নিরিহ প্রকৃতির ও বেনাপোলে বসবাস করায় সন্ত্রাসী কাদের সুযোগ বুঝে এসব অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে গ্রামে নিরিহ মানুষ সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়বে।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডাঃ কাজী নাজিব হাসান বলেন, অভিযোগ পেয়ে সম্ভাবত সেটি শার্শা থানা ওসি কে ফরওয়ার্ড করেছিলাম কিন্তু কোন পদক্ষেপ নিয়েছে কি না জানিনা। আগামি রোববার অফিসে গিয়ে দেখব কি হয়েছে।
শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম রবিউল ইসলাম বলেন, এধরনের কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।