যশোর হাসপাতালে ডাক্তারদের অবহেলার কারণে নজরুল ইসলাম (৬০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগে ইন্টার্নি চিকিৎসককে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত পৌনে এগারোটার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। মৃত নজরুল ইসলাম যশোর শহরের পূর্ব ও বারান্দি পাড়া বউবাজার এলাকার মৃত বাবু মিয়ার ছেলে।
মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে ইমরান হোসেন (২৭) বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা শোয়া তিনটার দিকে পেটের ব্যথা নিয়ে আমার আব্বাকে যশোর সদর হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করি। কিন্তু ডাক্তাররা আমার আব্বার চিকিৎসার প্রতি কোন গুরুত্ব দেননি। তাদের অবহেলার কারণে শুক্রবার রাত দশটায় ৪০ মিনিটে আমার আব্বার মৃত্যু হয়েছে। আমার আব্বার মৃত্যুর পরেও ডাক্তারদের ডেকেও পাওয়া যায়নি।
নজরুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর আত্মীয়-স্বজনসহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জন ক্ষিপ্ত হয়ে পুরুষ মেডিসিন বিভাগের ইন্টার্নী চিকিৎসক ডাঃ মোঃ ইফতেখাইরুল আলম শুভকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে আহত করেন। এসময় হাসপাতলে অন্যান্য কর্মচারীরা এগিয়ে এসে ডাক্তারকে উদ্ধার করে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা দেন।
সংবাদ পেয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থানে উপস্থিত হয়ে পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।তবে ঘটনায় ডাক্তারদের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ এখনো পর্যন্ত করা হয়নি বলে থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনর্চাজ কাজি বাবুল হোসেন জানান।
এদিকে মেডিসিন বিভাগ কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক ইফতেখাইরুল আলম শুভকে রোগীদের স্বজন কর্তৃক শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদেও হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে শনিবার দুপুরে যশোরের জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হিমাদ্রি শেখর সরকার (চলতি দায়িত্বে) এর নেতৃত্বে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মানববন্ধনে ইন্টার্ন ডাক্তারগন দাবী করেন সকল ডাক্তারগণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং নিরাপদ কর্মসংস্থান তৈরি করা ও ডাক্তারের হামলা কালীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা। উক্ত মানববন্ধনে যশোর সদর হাসপাতালের ৩০/৪০ জন ইন্টার্ন ডাক্তার উপস্থিত ছিলেন।