মানবপাচারের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষা ও সহায়তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভাগীয় পর্যায়ের শেয়ারিং ও ওরিয়েন্টেশন সভা রোববার সকালে যশোর কালেক্টরেট সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব (রাজনৈতিক-১) মুহঃ জসীম উদ্দিন এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার। সভায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার জেলা প্রশাসকবৃন্দ,যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাক নাজিবুল হাসানসহ সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের অর্ধশত স্ট্রেক হোল্ডারগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় দেশের মানবপাচারের অতীত ও বর্তমান হালচিত্র তুলে ধরে রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক, যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট নূর ইসলাম সাংবাদিক ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল,ঢাকা অহছানিয়া মিশনের শেলটার হোম ইনচার্জ শাহানাজ পারভীন, শাহরিয়ার হাসান, অসীত কুমার সাহা, আনিছুর রহমান প্রমুখ সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তাবৃন্দ বক্তৃতা করেন। সুইজারল্যান্ড সরকারের আর্থিক সহায়তায় উইনরোক এবং ইনসিডিন বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে এই কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে। সভার মুরুতে যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম স্বাগত বক্তৃতা করেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন,মানবপাচার একটি ঘৃণিত অপরাধ। এই কাজের প্রতিকার তেকে প্রতিরোধই শ্রেয়।দেশের সম্মান বঁাচাতে এই মানবপাচার বন্ধ করতে হবে। যারা সম্ভাব্য পাচারের ঝঁুকিতে আছেন এমন জনগোষ্ঠিকে কর্মমুখি প্রশিক্ষণসহ নানা রকমের ট্রেনিং ও আর্থিক ও মানষিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে তাদেরকে আত্ননির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে হবে।দেশের বেকার যুবক-যুবতিদের আত্নকর্মসংস্থান এবং যুক্তিসংগত মুজুরী কাঠামো প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দিতে হবে। প্রযুক্তি জ্ঞান নির্ভর সমাজ গঠন করে পাচার প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।পাচারের শিকার নারী ও পুরুষ এবং শিশুদের মানবিক আর্থিক ও জ্ঞানভিত্তিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে তাদেরকে সমাজের মইেন স্ট্রিমে সংযুক্ত করতে হবে।পরিস্তিতর শিকার এসব ভিকটিমকে সামাজিক সুরক্ষা প্রদানের মাধ্যমে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার নিশ্চয়তা দিতে হবে।সর্বোপরি একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন, সামাজিক ন্যায় বিচার ও মানবিক মুল্যবোধ জাগ্রত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। তবে পাচার মুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব বলে মনে করেন প্রধান অতিথিসহ বিভাগের সকল জেলা ও উপজেলঅ পর্যায়ের স্ট্রেক হোল্ডারগণ।
সভায় জানানো হয় গত বছর খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় মানবপাচার সংক্রান্ত ঘটনায় ২৩৮টি মামলা হয়েছে। এই সময়ে ৯২টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। যার মধ্যে ৫টি মামলায় ৯ আসামীর সাজা নিশ্চিত করা গেছে। সভায় জানানো হয় এ পর্যন্ত এই বিভাগে নারী ও শিশু পাচারের ঘটনায় ৮১১টি মামলা বিচারাধীন আছে।