একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে সম্মাননাপ্রাপ্তদের গ্রুপ ফটোসেশনের রেওয়াজে পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এমনটি বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, গতকাল থেকে পদকপ্রাপ্ত গুণীজনদের গ্রুপ ফটো সেশন নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। পূর্বপ্রচলিত রীতি অনুযায়ী, সরকার বা পুরস্কার দেওয়া প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পদকপ্রাপ্তদের একটি আনুষ্ঠানিক গ্রুপ ফটোসেশন আয়োজন করা হয়ে থাকে। এতদিন এ বিষয়ে তেমন কোনো দ্বিমত বা আপত্তি শোনা যায়নি।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, বর্তমান সরকার সংস্কার ও আধুনিকায়নের পথেই অগ্রসর হচ্ছে, তাই যেকোনো প্রচলিত রীতি নতুন করে ভাবার সুযোগ রয়েছে। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে গ্রুপ ফটোসেশন কীভাবে আরও সম্মানজনক রেখে এবং গুণীজনদের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখে আয়োজন করা যায়, তা নিয়ে মন্ত্রণালয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এ বছরের একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠান থেকে গ্রুপ ফটোসেশনের এই প্রচলিত রীতি বাদ দেওয়া হবে। একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণীজনদের জন্য গ্রুপ ফটোসেশন আরও সম্মানজনক এবং যুক্তিসঙ্গতভাবে আয়োজন নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলেও জানান উপদেষ্টা।
অতিথিদের পেছনে পুরস্কারপ্রাপ্তদের দাঁড় করিয়ে বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কারের ফটোসেশন পর্ব ঘিরে এবার বিতর্ক শুরু হয়। এবার প্রবন্ধ/গদ্যে পুরস্কার পাওয়া সলিমুল্লাহ খানও ছিলেন পেছনে দাঁড়ানো পুরস্কারপ্রাপ্তদের কাতারে। ওই ছবি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
পুরস্কার নেওয়ার পরদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বরে জাতীয় কবিতা পরিষদের এক অনুষ্ঠানে এসে ক্ষোভ ঝারেন সলিমুল্লাহ খান। বাংলা একাডেমিসহ আয়োজকদের সমালোচনা করেন তিনি।