বাংলাদেশ নিয়ে ভারত ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনা দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় নানা বিষয় ছাড়াও বাংলাদেশ ও ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি। এছাড়া বর্তমান ভূরাজনৈতিক নানা বিষয়ের কথা বলেন তারা।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে সরকারি সফরে থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর এবং ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেছেন। দুই মন্ত্রী ইউক্রেন, বাংলাদেশ, পশ্চিম এশিয়া এবং কমনওয়েলথ নিয়েও আলোচনা করেছেন বলে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (আগে যার না ছিল টুইটার) লিখেছেন জয়শঙ্কর।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা ইউক্রেন সংঘাত, পশ্চিম এশিয়া, বাংলাদেশ, কমনওয়েলথসহ নানা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেছি। অনিশ্চিত ও অস্থির বিশ্বে ভারত-যুক্তরাজ্য স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির পথে অবদান রাখছে।’
কিন্তু বাংলাদেশ বিষয়ে কী আলোচনা করেছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি ভারতের পরররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জয়শঙ্কর গত মঙ্গলবারের কিছু অংশ ও পরদিন বুধবার যুক্তরাজ্যের চেভেনিং হাউসে কাটিয়েছেন। এটা ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন। একই সময়ে সেখানে জয়শঙ্করের স্ত্রী কিয়োকো জয়শঙ্কর ও ল্যামির স্ত্রী নিকোলা গ্রিনও উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি সেখানেই আছেন। দেশ ছেড়ে ভারতে পালানোর পর হাসিনাকে ঘিরে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়। তিনি যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন বলে গুঞ্জন ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। তখন লন্ডন জানিয়েছিল, ওই পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার মতো কোনো আইন যুক্তরাজ্যের ছিল না।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর হাসিনা ও তার পরিবারের অনেক সদস্যের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ বেরিয়ে আসে। বাংলাদেশে দুর্নীতির তদন্তে নাম আসার পর গত জানুয়ারি মাসে ব্রিটেনের দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন শেখ হাসিনার ভাগ্নি ব্রিটিশ লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিক।
অবশ্য লন্ডনে হাসিনা ঘনিষ্ঠের কাছ থেকে উপহার নেওয়া ছাড়াও; সাবেক এক বাংলাদেশি এমপির কাছ থেকে ২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের দুটি টিকিট নিয়েছিলেন টিউলিপ। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অন্যান্য আরও আর্থিক অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে।
এসবের মধ্যেই দেশটির বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টিও টিউলিপকে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছিল।
দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির একজন এমপি। ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি দেশটির সিটি মন্ত্রী ছিলেন। কিছু অভিযোগের মুখে তিনি পদত্যাগ করেন। বাংলাদেশ নিয়ে ভারত ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনা