যশোর শহরের বঙ্গবাজারে দিন দুপুরে একটি ওষুধের দোকানের তালা ভেঙে মালামাল ও নগদ টাকা লুটের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সেই শহিদুল হক নাদিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে বিচারক । রোববার আদালতে এসে তারা জামিন আবেদন জানালে বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিকে, অভিযোগ উঠেছে ওই নাদিমসহ তার সহযোগিরা আদালত চত্তরে বাদীকে মারপিট করে ও নানা ধরনের হুমকি ধামকি দেয়। শহিদুল হক নাদিম কাজীপাড়া এলাকার কাজী নজরুল হক মদনের ছেলে। এছাড়া এ মামলার অপর দুই আসামি জামিন পেয়েছেন। তারা হলেন, রাজারহাটের আহাদ ও ঝুমঝুমপুরের রাজু আহম্মেদ।
আদালত সূত্র জানায়, ওইদিন নাদিমসগ তিনজন আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন নিতে নিতে এসেছিলেন। এরমাঝে মামলার বাদী সোহলে রানা এজলাসে হাজির হয়ে বিচারকের কাছে অভিযোগ করেন নাদিম তাকে নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। বিষয়টি আদালত গুরুত্বের সাথে নিয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অপর দুই আসামির জামিন ও নাদিমের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে যানা যায় , বঙ্গবাজারের চৌধুরী ফার্মেসি অ্যান্ড সার্জিক্যালের মালিক সোহেল রানা ৭০ লাখ টাকায় বঙ্গবাজারের ১২ ও ১৩ নাম্বারের দুইটি দোকানের পজিশন কেনেন আসামি শহিদুলের কাছ থেকে। যা ৩শ’ টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে লেখালেখিও হয়। গত ২৫ ডিসেম্বর ৫০ লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে শহিদুল হক নাদিম। টাকা না দেয়ায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে আটটার দিকে শহিদুল তার গাড়িখানা রোডের অফিসে সোহেল রানাকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই দোকানের চুক্তিনামার মুল কপি ছিনিয়ে নিয়ে ছিড়ে ফেলেন। পরে দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেন শহিদুল। সর্বশেষ গত ৪ মার্চ দুপুরে আসামিরা একত্রিত হয়ে দোকানে গিয়ে প্রকাশ্যে বস্তায় করে সব মালামাল লুট করে নিয়ে যান। যার দাম ৫০ লাখ টাকা। এছাড়া ক্যাশ বাক্সে থাকা পাঁচ লাখ টাকাও লুট করে আসামিরা। সর্বমোট ৫৫ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যান আসামিরা। বাধ্য হয়ে তিনি কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।