মেয়েকে সাক্ষী রেখে ডাক্তারের সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করলেন মল্লিকা

Date:

বিনোদন জগতের ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকবার না করেছেন। হবু স্বামীকে ভেবে দেখতে বলেছিলেন তিনি। কারণ একটা বড় মেয়ে নিয়ে বিয়ে করা কঠিন সিদ্ধান্ত। কীভাবে দ্বিতীয় বিয়েতে রাজি হলেন, অভিনেত্রী জানালেন সেই কথা?

আনন্দবাজার প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ অভিনেত্রী মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বেশিরভাগ সময় খলচরিত্রেই দেখা গেছে তাকে। বাস্তবে অবশ্য মানুষটা অন্য রকম। পর্দার চরিত্রের সঙ্গে একেবারেই মিল নেই অভিনেত্রীর। আসর জমাতে ওস্তাদ। তিন দিন শুটিংয়ে না গেলে একবাক্যে সহকর্মীরা খোঁজ করেন তার। চারপাশে মানুষের অভাব ছিল, তেমন নয়। তবে জীবনে বারবার ঠকে যেন বিশ্বাস করতে, ভরসা করতে ভুলে গিয়েছিলেন মল্লিকা। তার জীবনের ভেঙে যাওয়া বিশ্বাস ফের জোড়া লাগল।

১৫ বছর পর ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন মল্লিকা। ১৭ বছরের মেয়ের মা তিনি। মেয়ের উৎসাহেই ফের দ্বিতীয় বিয়ে করছেন অভিনেত্রী। পাত্র চিকিৎসক রুদ্রজিৎ রায়। আগামী ২৪ জানুয়ারি বিয়ে। আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন জীবনের নতুন অধ্যায় শুরুর অভিজ্ঞতা।

অল্প বয়সে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়ের বয়স যখন ৯ সেই সময় স্বামী এসে জানান পরকীয়ায় জড়িয়েছেন। সেই থেকে শুরু লড়াই। একা হাতে মেয়েকে বড় করে তোলা। আর মেয়ের দায়িত্ব সামাল দিতে গিয়ে নিজের জীবনের দিকে তাকানোর সময় পাননি তিনি। তবু মাঝে প্রেম আসে মল্লিকার জীবনে, তিনিও অভিনেতা। কিন্তু বছর খানেকের মধ্যে সেখানেও প্রতারণা। তার পর যেন বিশ্বাস উঠে যায় সম্পর্ক থেকে। তবু মায়ের চিন্তা, মেয়ে বড় হচ্ছে কয়েক বছরের মধ্যে তার নিজস্ব জগত হবে। সে কথা ভেবে মনস্থির করেন, ফের চেষ্টা করবেন বিয়ের পিঁড়িতে বসার। মল্লিকা বলেন, কোভিডকালে রুদ্রজিতের সঙ্গে দেখা। তার ও মেয়ের চিকিৎসক ছিলেন। পরে অবশ্য একটি অনুষ্ঠানে আলাপ।

অভিনেত্রী বলেন, রুদ্রর তরফ থেকেই প্রস্তাবটা আসে। আমি বহুবার না করেছি। বলা ভালো, ওকে বলেছি ভেবে দেখতে। কারণ একটা বড় মেয়ে নিয়ে বিয়ে করা ঠিক নয়। মেয়ের যেমন মেনে নেওয়ার ব্যাপার থাকে, তেমনই তাদের আমার মেয়ের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার রয়েছে। কিন্তু রুদ্র হাল ছাড়েনি। ওর মধ্যে অসম্ভব ধৈর্য সেটাই সব থেকে বেশি আকর্ষণ করেছে আমাকে। ভরসা ফিরিয়ে দিয়েছে আমার মানুষের প্রতি।

কিন্তু মেয়ে এখন বয়ঃসন্ধির সময়ে, যৌবনে পা দেবেন। সেখানে দাঁড়িয়ে মায়ের বিয়ে। অথচ মায়ের জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে মেয়েই সাহায্য করেছেন। মল্লিকা বলেন, মেয়ের যখন ১১ বছর বয়স সেই সময় থেকেই ও আমাকে বলেছিল— নতুন করে ভাবার কথা। এখন রুদ্র আর মেয়েকে কথা বলতে দেখলে কেউ বলবে না যে ও গরিমার বাবা নয়।

তিনি বলেন, সত্যি বলতে— বেশি বয়সে বিয়ে কুণ্ঠাবোধ হচ্ছিল। মেয়েই উৎসাহ নিয়ে সবটা করিয়েছে। আর আমার মেয়ে ১৭ বছর হলেও একটু ছেলেমানুষ। এখন তার আনন্দ মায়ের বিয়ে দেখবে। ওর ইচ্ছে, মায়ের বিয়েতে নিতকনে হবে। যেহেতু মল্লিকার কাছে মেয়েই তার জগত, তাই মেয়ে খুশি থাকলেই সে খুশি।

উল্লেখ্য, বর্তমানে ‘গীতা এলএলবি’ ও ‘দুই শালিক’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Popular

More like this
Related

কোরবানির মাংস দ্রুত বরফ করতে ফ্রিজের তাপমাত্রা কত হওয়া উচিত?

কোরবানির মাংস দ্রুত বরফ করতে ফ্রিজের তাপমাত্রা কত হওয়া...

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান পবিত্র ঈদুল আজহা...

কে জিতল: এপ্রিলে ক্ষুব্ধ বিএনপি, খুশি জামায়াত-এনসিপি

কে জিতল: এপ্রিলে ক্ষুব্ধ বিএনপি, খুশি জামায়াত-এনসিপি ৬ জুন, শুক্রবার...

সৌদির সঙ্গে মিলে রেখে ১১ জেলায় ঈদ উদযাপন

সৌদির সঙ্গে মিলে রেখে ১১ জেলায় ঈদ উদযাপন সৌদি...