বিপিএল বিদেশি ক্রিকেটারদের মান নিয়ে ফি বছর প্রশ্ন ওঠে। এবার ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনসহ বেশ কয়েকটি দলের অধিনায়কও টুর্নামেন্টে মানসম্মত বিদেশি ক্রিকেটারের সংকটের বিষয়টি সামনে এনেছেন। যেখানে বিপিএলে ভালো মানের বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলে স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিজেদের গড়ে তোলার কথা, সেখানে উল্টো আনকোরা বিদেশি ক্রিকেটারদের দিয়ে কোটা পূরণ করছে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা।
বিপিএলে ভালো মানের বিদেশি ক্রিকেটার পাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এর মধ্যে আর্থিক ইস্যু তো রয়েছেই, সঙ্গে টুর্নামেন্টের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় থাকা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অদক্ষতার বিষয়টিও এখন ‘ওপেন সিক্রেট’।
তবে এসবের বাইরেও আরেকটি কারণে বিপিএলে ভালো মানের বিদেশি ক্রিকেটারদের দেখা মেলে না। আর সেটি হচ্ছে টুর্নামেন্টের সময়সূচি। বিপিএলের সঙ্গে একই সময়ে চলছে দক্ষিণ আফ্রিকায় এসএ টি-টোয়েন্টি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইএল টি-টোয়েন্টি। বাকি দুই লিগের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বিপিএলের চেয়ে বেশি অর্থ দিচ্ছে। ফলে ক্রিকেটাররা সেসব লিগে খেলতেই বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
দেখা গেছে, বিপিএলের দলগুলোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েও পরে বেশি অর্থের প্রলোভনে ওই দুই লিগে নাম লিখিয়েছেন ক্রিকেটাররা। কেউ কেউ আবার বিপিএলের শুরুর দিকে কয়েক ম্যাচ খেলে চলে গেছেন। এতে এখন বিপিএলের কয়েকটি দলকে একাদশ সাজাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এ সমস্যার সমাধান বাতলে দিয়েছেন খুলনা টাইগার্স অধিনায়ক এবং জাতীয় দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ, ‘আমার মনে হয় বিপিএল এমন একটা সময়ে হওয়া উচিৎ যখন ৩-৪টি টুর্নামেন্ট থাকবে না। একটা থাকবে। তাহলে অনেক ভালো মানসম্পন্ন খেলোয়াড় পাওয়া যাবে। আগের বিপিএলে অনেক খেলোয়াড়ই ছিল। তখন এত টুর্নামেন্ট হতো না।’
‘বাইরের দেশে অনেক টুর্নামেন্ট চলছে। অনেক খেলোয়াড় আগেই সাইন করে ফেলেছে অন্য লিগে। এখানে যারা খেলছে, আগে থেকেই ওসব টুর্নামেন্টে সুযোগ পায়নি। একসাথে ৩-৪ টুর্নামেন্ট চললে অনেক কঠিন হয়ে যায়’-যোগ করেন এই অলরাউন্ডার।
বিপিএলের পরের আসর আয়োজনের ক্ষেত্রে বিসিবি মিরাজের এই পরামর্শ আমলে নেয় কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়।